বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বাগেরহাটে ৪ হাজার ৪৭০টি মৎস্য ঘের ও ৪০০ পুকুর ডুবে গেছে। এসব ঘের ডুবে সাড়ে ৬ কোটি টাকা মূল্যের চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ ভেসে গেছে। পুকুর ডুবে অনেক এলাকায় মিষ্টি পানির উৎস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে জেলা মৎস্য বিভাগ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস : খুলনায় অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত
তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাগেরহাটের বিভিন্ন নদীতে বিপদসীমার ১ ফুট ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন গ্রাম এবং মৎস্যঘেরে পানি ঢুকে পড়ে। পানির চাপে একের পর এক মৎস্য ঘের ও পুকুর ডুবে যায়। এসব ঘের থেকে চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ ভেসে গেছে।
মৎস্য চাষিদের তথ্য মতে, তাদের ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: সাতক্ষীরার ৪৪ পয়েন্টে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম রাসেল জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বাগেরহাটের আট উপজেলায় ৪,৪৭০টি মৎস্য ঘের ও ৪০০ পুকুর ডুবে যায়। এসব মৎস্য ঘের ডুবে সাড়ে ৬ কোটি টাকার চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে গেছে। বিশেষ করে বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল এবং মোংলা উপজেলায় মৎস্যঘের সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ইয়াসের প্রভাবে ১৬ গ্রাম প্লাবিত
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।