দগ্ধরা হলেন- পটিয়া উপজেলার কচুয়াই গ্রামের মো. আব্দুল মোনাফের ছেলে আবু সৈয়দ (৪০), চন্দনাইশের এনায়েত হোসেনের ছেলে মো. রহিম (৩৩), একই উপজেলার মীর আহাম্মদের ছেলে মো. আলী (৩২), আব্দুল মাহবুবের ছেলে সাজ্জাদ (২০) ও চন্দনাইশ রসুনহাট সৈয়দাবাদ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জলিলের ছেলে আবু ছালেক (২৬)। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ছালেকের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. হোসেন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
তিনি দাবি করেন, শ্রমিকদের দিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কয়েকশ গ্যাস সিলিন্ডার এখানে মজুদ রেখে সেগুলোতে ওজনে কারসাজি করছিল। অসাবধানতাবশত কোন কারণে পুরো ঘরটিতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন জানান, গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট অথবা মোবাইল ফোন চার্জার থেকে আগুন লেগে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
তবে আহতদের উদ্ধৃতি দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন বলেছেন, চার্জে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ ঘটলে দোকানে আগুন লেগে তারা অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।
এদিকে দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা ঘটনাস্খল সিলগালা করে দিয়েছে বলে জানা গেছে।