বুধবার ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা দায়ের করলে আমরা আসামির অবস্থান শনাক্ত করি। পরে ভোর রাতে চান্দগাঁও থানা পুলিশের সহায়তায় নগরী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
পুলিশ জানায়, লোহাগাড়ার পদুয়া এলাকার এক বিধবা নারীকে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি করে আসছিলেন পদুয়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন। ওই নারীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করছেন বলেও অভিযোগ ছিল ইউপি সদস্য আনোয়ারের বিরুদ্ধে।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, বিধবা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার লোহাগাড়া থানায় মামলা দায়ের হয়। লোহাগাড়া থানার রিকুইজিশন পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার সকালে তাকে লোহাগাড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
এদিকে, গ্রেপ্তারের আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন দাবি করেন, বিধবার ছেলে তার সাথে থেকে বিভিন্ন প্রজেক্ট দেখাশোনা করত। এ কারণে তার পরিবারের সাথে ইউপি সদস্যের সামাজিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। ওই সম্পর্ককে কেন্দ্র করে ওই বিধবা নারী বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে টাকা ধার নিতো আবার ফেরত দিত। তার সাথে বিশ্বাস জমিয়ে বিভিন্ন তারিখে নগদ টাকা ও গৃহ সামগ্রী হার্ডওয়ারের জিনিসপত্র ক্রয় ইত্যাদি উপলক্ষে এক লাখ ৬২ হাজার ৮৫০ টাকা তার কাছ থেকে গ্রহণ করে। গত ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে উক্ত টাকা ফেরত দেয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে ইউপি সদস্য ১২ আগস্ট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১৭৩/২০২০ ইং। এসবের কারণে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।