চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকা থেকে সোনিয়া আকতার (২৬) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় পলাতক রয়েছে তার স্বামী আবুজার গিফারী।
সোনিয়া কদমরসুল এলাকার সাবিউল হকের কন্যা।
বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কেশবপুর গ্রামের জহুর আলম মেম্বারের ভাড়া ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে রেললাইন থেকে সিএন্ডএফ কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও সোনিয়ার পরিবারের ধারণা, দুদিন আগে রাতের কোন এক সময় সোনিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্বামী পালিয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আট মাস আগে প্রেম করে বিয়ে হয় দুজনের। তারা একমাস ধরে ইউপি সদস্য জহুরুল আলমের ভাড়া বাসায় বসবাস করত। বৃহস্পতিবার বিকালে তালাবদ্ধ ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে জহুরুল আলম সোনিয়া আক্তারের পরিবারকে বিষয়টি জানায়। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘরের তালা ভেঙ্গে সোনিয়ার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
ইউপি সদস্য জহিরুল আলম বলেন,'আমার ভাড়া বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হলে আমি বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেছে।'
সোনিয়া আকতারের বাবা সাবিউল আলম বলেন,'আবুজার গিফারী পেশায় রাজমিস্ত্রী, তার সাথে আট মাস আগে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। গত ৮ জুন স্বামী-স্ত্রী দুজনই আমার বাড়িতে গিয়ে মেয়ের (সোনিয়া) অসুস্থতার জন্য মেডিকেলে ভর্তি হবে বলে ১০ হাজার টাকা নিয়ে আসে। তারপর থেকে তাদের সাথে আর কথা হয়নি। আজ জানতে পারি স্বামী তাকে হত্যা করে ঘরের বাইরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে কখনও কোন প্রকার ঝাগড়া বিবাদ হতেও দেখিনি। ধারণা করছি সে টাকার লোভে আমার মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।'
সীতাকুণ্ড সার্কেলের এএসপি আশরাফুল করিম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজার তালা ভেঙে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামী তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে তাকে কীভাবে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তবে আসামি গিফারী পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি।