চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা আমদানিকৃত, মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিলাম অযোগ্য ৩৮৫ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু হবে।
এজন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। জায়গাটি চট্টগ্রামের আউটার রিং রোড সংলগ্ন হালিশহরের আনন্দবাজারে অবস্থিত।
আরও পড়ুন: ট্রানজিট চুক্তি: ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’
ইতোমধ্যে ৬৩ কনটেইনার নষ্ট খাদ্যপণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) অর্ধেকের মত কনটেইনারে থাকা পণ্য মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাকিটা শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে সাড়ে ৭ হাজার নিলাম অযোগ্য পণ্য রয়েছে। এরমধ্যে ২৭৩ কনটেইনারে বিপজ্জনক পণ্য রয়েছে। তবে প্রথম ধাপে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ৬৩ কনটেইনার পণ্য মাটিচাপা দেয়া হবে। পাশাপাশি রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে ৩৮৫ কনটেইনার পণ্য মাটি চাপা দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। ৩৮৫ কনটেইনার পণ্য খালি করতে সময় লাগতে পারে ১৫-২০ দিন। কাজটি শেষ হলে বন্দরে কমপক্ষে সাড়ে ৩০০ কনটেইনার রাখার জায়গা খালি হবে।
এ নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে পণ্য ধ্বংস কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন কাস্টমস, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে এক কন্টেইনার বিদেশি সিগারেট জব্দ
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার ওমর মবিন বলেন, পণ্য ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। তাই প্রতিবার পণ্য ধ্বংসের আগে জায়গা নির্বাচন করতে হয়। এজন্য পণ্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগে। প্রায় পাঁচ একর জায়গায় ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্রেন, স্কেভেটর, ট্রেলার, ট্রাকসহ প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নষ্ট হওয়া পণ্যগুলো মাটিচাপা দেয়া হবে। যার ফলে কোনপ্রকার দুর্গন্ধ ছড়ানোর সুযোগও থাকবে না। আমরা যথাসময়ে কাজ শেষ করব।
উল্লেখ্য, জাহাজ থেকে নামার ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস করতে হয় আমদানিকারককে। এ সময়ের মধ্যে পণ্য খালাস না হলে কাস্টমস থেকে নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের ১৫ দিনের মধ্যে ওইসব পণ্য খালাস না করলে নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস।
এর আগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ১৯৪ কনটেইনারের চার হাজার ৮০৭ টন ব্যবহার অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করেছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের মাস্টার অপারেটর ও তার স্ত্রীর হিসাব জমার নির্দেশ দুদকের