পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ট্রেনে করে দিনাজপুর যাওয়ার পথে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
বর্তমানে ওই মাকে দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
সন্তান প্রসবকারী মুক্তি পারভিন (২৫) ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ভোমরাদহ হাজীপাড়া গ্রামের মুনসুর আলীর স্ত্রী।
সিলেটে ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় তদন্ত কমিটি
রবিবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ স্টেশন থেকে দিনাজপুর যাওয়ার সময় দ্রুতযান এক্সপ্রেসে সন্তান প্রসব করেন মুক্তি পারভিন।
ট্রেনে এ নতুন অতিথির আগমনে আন্তঃনগর দ্রুতযান ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের ১৩ মিনিট পর দিনাজপুর স্টেশন ছেড়ে যায়।
মুক্তির স্বামী মুনসুর আলী জানান, এটা তাদের দ্বিতীয় সন্তান। তাদের ২ বছর বয়সী আরও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে দিনাজপুর মিশন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতেন। আগামী ৮ এপ্রিল সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ ছিল। তাই রবিবার সকালে স্ত্রীকে নিয়ে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ স্টেশনে পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেসে দিনাজপুরে যাচ্ছিলেন। পথে স্ত্রী মুক্তি পারভিনের প্রসব বেদনা শুরু হয়। এ সময় ট্রেনে থাকা নারী যাত্রীদের সহায়তায় মুক্তি পারভিন নিরাপদে নরমালি সন্তান প্রসব করেন।
সিলেটে তেলবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, রেলযোগাযোগ বন্ধ
তিনি জানান, ট্রেন এসে দিনাজপুর স্টেশনে পৌঁছালে স্টেশন সুপারিন্টেনডেন্ট জিয়াউর রহমান সিদ্ধান্ত দেন, প্রসূতি মা ও নবজাতক নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন দিনাজপুর স্টেশন ছেড়ে যাবে না। পরে জিআরপি পুলিশ, স্টেশন মাস্টার নারগিস বেগম ও স্থানীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ধাত্রীর সহযোগিতায় মা ও নবজাতককে সযত্নে ট্রেন থেকে নামানো হয়। বিনা ভাড়ায় অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে রেল কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া হাসপাতালের পক্ষ থেকে প্রসূতি মা ও নবজাতক মেয়ে মিতালীকে এক গুচ্ছ ফুল, ডালাভর্তি ফল, বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও নতুন জামা কাপড় উপহার দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে স্টেশন মাস্টার জিয়াউর রহমান বলেন, `আমরা সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে মা ও শিশুকে নিরাপদে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি।‘
ইঞ্জিন লাইনচ্যুত: গাজীপুরে দেড় ঘণ্টা পর স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল
কোটচাঁদপুরে ২ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১০ ঘণ্টা পর চলাচল স্বাভাবিক
হাসপাতালের ডাক্তার সোহেল রানার বরাত দিয়ে মনসুর আলী জানান, প্রসূতি মা ও নবজাতক মিতালীকে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তারা দুজনেই সুস্থ রয়েছেন।