ঈদের দিন থেকে বিজিবি এই সতর্কতা জোরদার করেছে। এছাড়া সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে চামড়ার মূল্য অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ায় চোরাকারবারীরা প্রতি বছর কোরবানির পশুর চামড়া ভারতে পাচারের চেষ্টা করে। এছাড়া দেশে অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর চামড়ার মূল্য অনেক কম। ফলে হিলি চেকপোস্ট, হাড়িপুকুর, রায়ভাগ, মংলা, নন্দিপুর ও ঘাসুড়িয়া পয়েন্ট ছাড়াও বিরামপুর ও পাঁচবিবি সীমান্তের পয়েন্টগুলো দিয়ে ভারতে চামড়া পাচারের আশঙ্কা রয়েছে।
এব্যাপারে জয়পুরহাট- ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফেরদৌস হাসান টিটো জানান, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিজিবি হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে হিলিসহ আশপাশের সীমান্তের চোরাইপথ দিয়ে কোরবানির পশুর চামড়া যাতে কোনোভাবে ভারতে পাচার হতে না পারে, সে ব্যাপারে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।’
তিনি জানান, সীমান্তবর্তী যেসব স্থানে কোরবানির পশুর চামড়ার আড়ৎ আছে সেসব স্থানগুলো নজরে রাখতে বিজিবি ও গোয়েন্দা সদস্যদের নজরদারি বাড়ানোসহ পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় ঈদের দিন থেকে ১৫ দিন এবং প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে আরও ১৫ দিন কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে বিজিবির এ সতর্কতা অব্যাহত থাকবে।