চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ২৫ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। এত রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের বহির্বিভাগেও চাপ রয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য রোগী ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রবিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আসিয়া খাতুন নামে ৮০ বছর বয়সি এক নারীর মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদরের বাঘানপাড়ার মৃত আশরাফ আলীর স্ত্রী আসিয়া।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা বৃদ্ধি: পিরোজপুরে এক সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৮ ডায়রিয়া রোগী
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুস সাকিব মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রবিবার সকালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ওই রোগী ভর্তি হন এবং বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জুন থেকে ২৩ জুন বিকেল ৩টা পর্যন্ত ওয়ার্ডে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ মোট ১৭৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন জানান, ডায়রিয়া ও আবহাওয়াজনিত অসুস্থতা নিয়ে প্রতিদিন অনেক রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রোগীর স্বজন আসমা বলেন, ‘ঈদের পর থেকে আমার দাদি পেটের ব্যথায় ভুগছেন। দুদিন আগে তার পেটে প্রচণ্ড ব্যথা এবং পরে ডায়রিয়া হয়। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি করেন।’
সজিব নামে এক রোগী জানান, কোরবানির ঈদের পরদিন থেকেই তার বমি ও প্রচণ্ড গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। দুদিন আগেও প্রচুর ভাজাপোড়া খাবার আর চটপটি খেয়েছেন। এগুলো খাওয়ার পর তার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেলেও তার অবস্থার উন্নতি হয়নি। রবিবার সকাল থেকে ডায়রিয়া শুরু হয়। বর্তমানে তিনি সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি।
চিকিৎসক ওয়াহিদ ইউএনবিকে বলেন, ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে ঈদের সময় অতিরিক্ত মাংস খাওয়া এবং বাইরে সময় কাটানোর সময় ফুচকা ও চটপটির মতো স্ট্রিট ফুড আইটেম গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া।
ডায়রিয়া হলে রোগীদের প্রচুর পরিমাণে স্যালাইনের পানি পান করতে এবং সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়া, হাসপাতালে স্যালাইন সংকট