চুয়াডাঙ্গায় কাপড়ের দরদাম করাকে কেন্দ্র করে দুই যুবক ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে। নিহত দুই জনের লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। অভিযুক্তরা ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভালাইপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
নিহতরা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের মাঠপাড়ার আমজাদ হোসেনের ছেলে সজল (২৪) ও তার বন্ধু স্কুলপাড়ার আজিজুর রহমানের ছেলে মামুনুর রশিদ(২৫)।
পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন বলেন, মঙ্গলবার বিকালে আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের ছামেনা খাতুন নামের এক নারী সদর উপজেলার ভালাইপুর বাজারে আশরাফুলের দোকানে কাপড় কিনতে আসেন। এ সময় ওই নারীর সঙ্গে দোকানি-কর্মচারীর দরদাম নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তাকে দোকান থেকে বের করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু
তিনি আরও বলেন, ছমেনা খাতুন বাড়ি ফিরে বিষয়টি তার ছেলে টিপুকে জানায়। টিপু রাতে তার বন্ধু সজল, মামুনুর রশিদ, পলাশসহ বেশ কয়েকজন মিলে আশরাফুলের দোকানে আসে বিষয়টি মীমাংসার জন্য। এ সময় দোকান মালিক-কর্মচারীসহ বেশ কয়েক জন ‘বখাটে’ তাদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে দোকান কর্মচারী রিয়ন চুয়াডাঙ্গা আলোকদিয়া হুচুকপাড়া গ্রামের সানোয়ার, আকাশ, শান্তি, জাহাঙ্গীরসহ বেশ কয়েকজন মিলে পরিকল্পিতভাবে মামুনুর রশিদ ও সজলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহযোগিতায় আহত দুই জনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান প্রথমে সজলকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মামুনুর রশিদের অবস্থা গুরুতর হলে চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। মামুনুর রশিদও মারা যান জরুরি বিভাগে। ডা. হাসানুজ্জামান বলেন যে দুইজনের বুকে ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। লাশ মর্গে রাখা আছে। বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বগুড়া সদর থানার সামনে ছুরিকাঘাতে শিক্ষক নিহত, পুলিশসহ আহত ৩