সোমবার বেলা ১১টার দিকে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাখানিক এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে হলোখানা নুরনবী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জমিদাতা সদস্য দছিম উদ্দিন, ভুক্তভোগী কাকলী বেগম প্রমুখ এসময় বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে কম্বলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
সংশ্লিষ্টরা জানান, কুড়িগ্রামে নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত বিবাদমান সমস্যা নিরসনে এক পক্ষের নিকট ঘুষ নিয়ে পক্ষপাতমূলক তদন্ত করার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা প্রতিবেদন বাতিল করে পুনপ্রতিবেদন ও ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিচার ও অপসারণ দাবি করেছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে সংসদ সচিবালয় ফোরামের মানববন্ধন
তবে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হক মুঠোফোনে জানান, দুই পক্ষের কাগজপত্রের সত্যতা দেখে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। ঘুষের বিষয়টি মিথ্যা।
আরও পড়ুন: যুক্তরোষ্ট্রে পারিবারিক ইমিগ্রেশন ভিসা চালুর দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সদর উপজেলার হলোখানা নুরনবী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন মোছা. কাকলী বেগম। গত ১ নভেম্বর নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে নড়াইলে শিক্ষকদের মানববন্ধন
ভুক্তভোগী কাকলী বেগম ও দাতা সদস্য দছিম উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি আমাদের কাছ থেকে নিয়োগের কথা বলে বিভিন্ন সময়ে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও শিক্ষা বিভাগে আমরা অভিযোগ করি। সেই প্রেক্ষিতে তদন্তের দায়িত্ব পান কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. নুরনবীর কাছে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে একপেশে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে নড়াইলে শিক্ষকদের মানববন্ধন
এরই প্রতিবাদে সোমবার কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন করেন।