ঠাকুরগাঁওয়ে টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলেনি। গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত জেলায় সর্বনিম্ন ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
প্রচণ্ড ঠান্ডায় সমস্যায় পড়েছেন বিভিন্ন বয়সি মানুষ। সকালে ও সন্ধ্যার পর প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ।
প্রতিদিনই বেলা ১১টা পর্যন্ত মহাসড়কের যানবাহনগুলোকে দেখা যায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করতে।
কয়েকদিনের প্রচণ্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে লক্ষ্যণীয় মাত্রায়। যাদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যাই বেশি। প্রতিদিন রাত ৮টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রাম-গঞ্জ ও শহরের হাট বাজারগুলো।
শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে শীতের পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। নর্থ সার্কুলার রোডে কাপড়ের দোকান ও মার্কেট থাকায় সেখানে মানুষের ভিড় অনেক বেশি দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এখানকার গরম কাপড়ের দোকানগুলোতেও বেড়েছে মানুষের ভিড়। গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সুযোগ বুঝে বিক্রেতারা কাপড়ের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
পৌর শহরের রোড যুব সংসদ মাঠের গরম কাপড়ের মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ ও শিশুরা মিলে ভিড় করছেন পছন্দমতো শীতের কাপড় কিনতে।
শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের শীতের শুরুর দিকে অন্যান্য বছর ভ্রাম্যমাণ হকার্স মার্কেট বসলেও এবার জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় সেটি আর বসছে না। ফলে ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে মানুষ ভিড় করছে।
রোড যুব সংসদ মাঠে কাপড় কিনতে আসা মফিজুল ইসলাম জানান, এখানে নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় কিনতে এসেছেন তিনি। শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভালো মানের কাপড় এখানে পাওয়া যায় তবে কাপড়ের দাম গত বারের চেয়ে অনেক বেশি বলেও জানান তিনি।
গরম কাপড় ব্যবসায়ী রাসেল হাসান জানান, এ বছর ভালো মানের শীতের গরম কাপড়ের দোকান বসেছে। ক্রেতারা উন্নত মানের যাবতীয় কাপড় সংগ্রহ করতে পারছেন এবং এখনকার মতো শীত থাকলে বেচা-কেনা আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।