ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে রবিবার থেকে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। শনিবার রাজধানীর উত্তরার মধ্য আজমপুর এলাকায় এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এলইডি লাইট নগরবাসীর জন্য নববর্ষের উপহার: ডিএনসিসি মেয়র
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলে ১০টি টিম এই অভিযান পরিচালনা করবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে।
বাসা-বাড়ি-অফিসে জমে থাকা পানিতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে মেয়র বলেছেন,‘আইন অনুযায়ী নিয়মিত মামলা হবে। কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপনার বাড়ি বা স্থাপনার ভেতরে, বাইরে, আশপাশে কোথাও পানি জমিয়ে থাকলে এখনই ফেলে দিন। ডেঙ্গু থেকে আপনি সুরক্ষিত থাকুন আপনার পরিবারকে ও প্রতিবেশিকে সুরক্ষিত রাখুন। বাড়িতে লার্ভার চাষ করে শাস্তি না পেয়ে বরং লার্ভার উৎস ধ্বংস করে পুরস্কৃত হোন।’
মেয়র বলেন, ‘ধারণা করা হয়েছিল অন্যান্য সময়ের তুলনায় এবছর ডেঙ্গু ভয়াবহ রুপ নিতে পারে। তাই বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই আমরা বছরের শুরু থেকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা সহ নানা কর্মসূচি চালিয়ে আসছি। তবে অতীতের সঙ্গে পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে এবছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেকটা কম। আমাদের কার্যকর পদক্ষেপের কারণে এখন পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের তুলনায়ও আমাদের দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক কম। ডেঙ্গু পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণ করাই আমাদের লক্ষ্য।’
আরও পড়ুন: সময় হয়েছে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হওয়ার: ডিএনসিসি মেয়র
তিনি বলেন, ‘শুধু সিটি করপোরেশনের পক্ষে পুরোপুরিভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা অতি গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের আন্তরিক সহযোগিতায় গত ঈদে মাত্র ১২ঘন্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি। জনগণের সহযোগিতা পেলে আমরা ডেঙ্গুও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবো। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।’
সুস্থতার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, সুস্থতার জন্য সুস্থ পরিবেশের কোনো বিকল্প নেই। আর সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম-সংক্রান্ত সামাজিক আন্দোলনে সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
প্রচারাভিযানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইসহাক মিয়া, ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডি.এম.শামিম, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর হাছিনা বারী চৌধুরী ও জাকিয়া সুলতানা এবং নিকুঞ্জ-১ কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বনানী সড়ক সংলগ্ন সেতু ভবন সরাতে হবে: ডিএনসিসি মেয়র