চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানায় নামাজ পড়া নিয়ে স্থানীয় মুসল্লিদের সাথে পুলিশের হাতাহাতি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
চান্দগাঁও আবাসিক বি-ব্লক জামে মসজিদে বুধবার রাতে পুলিশ ও মুসল্লিদের এই সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ৩০ জনকে থানায় ধরে নিয়ে গেলেও পরে ২৫ জনকে ছেড়ে দিয়ে পাঁচজনকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, লকডাউনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে বুধবার রাতে কয়েকশ মুসল্লি মসজিদে তারাবিহ নামাজ পড়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সাথে মুসল্লিদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ২-৩ জন সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ নামাজ পড়তে আসা ৩০ জনকে থানায় ধরে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২, শনাক্ত ৪১৭
এর আগে মঙ্গলবার রাতে তারাবিহ নামাজের প্রথম দিন এই মসজিদে কয়েকশ মুসল্লি নামাজ পড়তে গিয়ে মসজিদের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পেয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকশ মুসল্লি মসজিদের গেটে অবস্থান নিয়ে গেট বন্ধ পেয়ে হৈ চৈ শুরু করে। এক পর্যায়ে এক যুবক একটি মঈয়ের সাহায্যে উপরে উঠে মসজিদের কাঁচ ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দরজা খুলে দিলে মুসল্লিরা মসজিদে ঢুকে যায় এবং তারা নামাজ আদায় করে।
এদিকে, বুধবার রাতেও মুসল্লিরা নামাজ পড়তে জড়ো হলে আগে থেকে অবস্থান নেয়া পুলিশ মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয়। এতে পুলিশের সাথে হাতাহাতি-ধাক্কাধাক্কি ও সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
চান্দগাঁও আবাসিক কল্যাণ সমিতির সদস্য ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির অর্থ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন বলেন, ‘আমরা সরকারি আদেশ মেনে মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন খাদেমসহ স্টাফদের নামাজের ব্যবস্থা করে সবাইকে ঘরে নামাজ পড়ার অনুরোধ করেছি। এমনকি আমরা কমিটির লোকজনও ঘরে নামাজ পড়ছি। কিন্তু কিছু লোক মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে উসকে দিয়ে শত শত মানুষকে এনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির তৈরি করছে। প্রথম তারাবিহর দিন মসজিদের তালা ভেঙে মসজিদে প্রবেশ করেছ। দ্বিতীয় দিনও জোর করে শত শত লোক প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ এসে বাধা দেয়। কিন্তু এসময় ওসির সাথে ধস্তাধস্তি হয়, পুলিশের গাড়িতে ঢিল মারে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫ কিলোমিটার যানজট
চান্দগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) রাজেশ বড়ুয়া বলেন, ‘সরকারি আদেশ অমান্য করে মসজিদে ব্যাপক লোকজন প্রবেশ করা নিয়ে কমিটির সাথে মুসল্লিদের সমস্যা হয়। সমিতির অনুরোধে থানা পুলিশ সেখানে গেলে উত্তেজিত মুসল্লিরা পুলিশের ওপর হামলা করতে চায়। ঢিলও ছুড়ে। পরে সেখান থেকে ৩০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। পরে ২৫ জনকে পরিবারে জিম্মায় দেয়া হয়। পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।