ইতোমধ্যে বুধবার বাঘ আতঙ্ক থেকে পরিত্রাণ পেতে পূর্ব পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, রনসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানসহ এলাকার শতাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দেয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের রনসী পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা মৃত সরক আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম ও মৃত তেরাব আলীর ছেলে সুন্দর আলীর মালিকানা ও দখলীয় প্রায় এক একর জায়গা নিয়ে বেতের ঝোপ-ঝাড় জাতীয় জঙ্গল রয়েছে যাতে দীর্ঘদিন যাবৎ বাঘসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর বসবাস করে আসছে। এই বেতের ঝোপের আশপাশের বাড়ি ঘরে বসবাসকারী প্রত্যেকটি পরিবারের পালিত হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগল খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে। উক্ত বেতের ঝোপ জঙ্গল পরিষ্কার করার জন্য এলাকাবাসী পঞ্চায়েতগণ বারবার নুরুল ইসলাম ও সুন্দর আলীকে বলার পরও তারা পরিষ্কার করতে নারাজ। বর্তমানে বাঘের আতঙ্কে উক্ত গ্রামের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া এই রাস্তা দিয়ে আরও বিভিন্ন গ্রামের লোকজন রাত-দিন চলাচল করেন কিন্তু বাঘের ভয়ে চলাচল করতে বিরাট সমস্যায় রয়েছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া সম্প্রতি গ্রামের একটি ছাগলকে মেরে ফেললে এলাকাবাসী মিলে একটি মেছু বাঘকে আটক করে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এই জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা ও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বিধায় ঝোপ ঝাড় পরিষ্কার করা যাচ্ছে না।’
সুন্দর আলী বলেন, জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে, ‘আমি গ্রামের পাঞ্চায়েতের কাছে সমজাইয়া দিয়েছি তারা যা করেন আমি মেনে নেব।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার শাম্মী বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এক পক্ষ চাইছে জঙ্গল পরিষ্কার করার জন্য আরেক পক্ষ চাইছে না। আমি পূর্ব পাগলা ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেছি উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে জঙ্গল পরিষ্কার করে দেয়ার জন্য।’