প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী, অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে সোমবার সকাল থেকে সিলেট-ঢাকা-চট্রগ্রাম পথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে প্রথমদিনে যাত্রী সংখ্যা ছিল অপেক্ষাকৃত কম।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার শামীম আহমদ জানান, রবিবার হঠাৎ করে ঘোষণা আসায় আজ যাত্রী সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম ছিল। নির্ধারিত ৫০ শতাংশ আসনই পূরণ হয়নি।
তিনি জানান, দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে পারাবত ও রাত সাড়ে ৯টায় উদয়ন ট্রেন সিলেট থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাবে। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে বেধে দেয়া সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও মাস্ক ছাড়া কাউকেই ট্রেনে উঠতে দেয়া হচ্ছে না বলে জানান সিলেট স্টেশনের এই ব্যবস্থাপক।
আরও পড়ুন: আরও ১৩ জোড়া ট্রেন চালু
প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের আওতায় গত ৫ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী সব ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে গতকাল রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো: রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ৩০ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হলেও সোমবার থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে জানানো হয়। তবে সেক্ষেত্রে জনগণকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এদিকে ২৩ মে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, সোমবার ২৮ জোড়া আন্তঃনগর ও নয় জোড়া এক্সপ্রেস-কমিউটার ট্রেন দিয়ে শুরু হবে ট্রেন চলাচল। এক আসন ফাঁকা রেখে বিক্রি হবে টিকিট। ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হবে। কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হবে না, সব টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে।
আরও পড়ুন: আরও ১১ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চালু
রবিবার যাত্রীদের উদ্দেশে বাংলাদেশ রেলওয়ে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- প্রতিটি ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রয় করা হবে, আসনবিহীন কোনো টিকিট থাকবে না, টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না, বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত রেলভ্রমণ করবেন না এবং অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ব্যতীত কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেয়া হবে না।