উলিপুর উপজেলার গুঁনাইগাছ ইউনিয়নের কৃষ্ণমঙ্গল গ্রামে বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
বর্তমানে শিশুটিকে অভিযুক্ত ছেলের বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিশু শিক্ষার্থীর বাবা।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনা জানতে পেরেছেন উল্লেখ করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা গিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে জানাবে।
শিশু শিক্ষার্থীর বাবা মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, তার পাশের বাড়ির বাসিন্দা নুর আলমের দ্বাদশ শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে সোহেল রানা বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্তের নামে চার্জশিটও দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সোহেল রানা গত রাতেও তার শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে। এতে মেয়ের দাদি বাধা দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয় সোহেল রানা। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকালে সোহেল রানা তার বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ ভুক্তভোগীর বাড়িতে হামলা করে মেয়ের বাবা ও দাদিকে মারধর করে এবং জোর করে মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়।
মেয়ের এখনও বিয়ে বা সংসার করার বয়স হয়নি জানিয়ে অসহায় এ বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েকে আমি ফেরত চাই। সোহেল রানা ও তার পরিবারের লোকজনদের বিচার চাই।’
এদিকে মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে এ শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে সোহেল রানার বিরুদ্ধে ১১ জানুয়ারি মামলা হয়। ওই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সোহেল রানা।
মামলা থেকে রেহাই পেতে সোহেল রানার পরিবার এ অপকৌশল নিয়েছে দাবি স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার (এসপি) মহিবুল ইসলাম খান জানান, উলিপুর থানার ওসিকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।