এর আগে, বিদেশে চাকরির দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাসর্পোট করার কথা বলে জয়পুরহাটে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হন ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস (৫১)।
ওই মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারকে প্রকাশ্যে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ জীবননাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে দাবি ভুক্তভোগীর পরিবারের।
পরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জয়পুরহাট থানায় সাধারন ডায়রি ও রবিবার সংবাদ সম্মেলন করে জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে কিশোরীর মা জানান, ‘উচ্চ বেতনে বিদেশে চাকরির দেয়ার কথা বলে গত ৪ নভেম্বর জয়পুরহাটের সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (মেম্বার) ও সদর উপজেলার চকশ্যাম এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস পাসর্পোট তৈরির নামে তার মেয়েকে গোপনে ডেকে নিয়ে অজ্ঞাতস্থানে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ (পাশবিক নির্যাতন) করে। সন্ধ্যা পার হবার পরও মেয়ে বাড়িতে না ফিরে আসায় জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পে অভিযোগ দেয়া হয়।
অভিযোগ পেয়ে ওইদিন রাতে জয়পুরহাট পৌর এলাকার খনজনপুর মহল্লায় অভিযান চালিয়ে এক বাড়ি থেকে কিশোরীকে উদ্ধারসহ ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস মেম্বারকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে র্যাব সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা মামলায় আব্দুল কুদ্দুসকে জেল হাজতে পাঠায় আদালত। এর মাত্র চারদিন পর জামিনে মুক্ত হয়ে এসে কিশোরীর পরিবারকে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও জীবননাশের হুমকি দিতে শুরু করেন তিনি। শনিবার ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস ২৫/৩০টি মোটরসাইকেলসহ তার দলবল নিয়ে এলাকায় শো-ডাউন করে এবং মামলার বাদির বাড়িতে এসে ভয়-ভীতি ও প্রাননাশের হুমকি দেয়।
এ ঘটনার চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকা পরিবারটি শনিবার জয়পুরহাট সদর থানায় জিডি করেছে।
এ ঘটনায় সরকারের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জীবনের নিরাপত্তা ও মেয়ের পাশবিক নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করেছে পরিবারটি।