নওগাঁয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীদের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় সমন্বয়ক আরমানসহ মেহেদী নামে আরেক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ঘটনাটি ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৮টায় দেশীয় অস্ত্র জব্দসহ কিশোর গ্যাংয়ের তিনজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে সেনাবাহিনী।
আটকরা হলেন- সান্নিধ্য, হাসান ও আলামিন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং নেতা খুন
সমন্বয়ক আরমান হোসেন ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী এবং অ্যাডমিশনের প্রস্তুতিতে নওগাঁয় অবস্থান করছিলেন তিনি। অন্যদিকে আহত মেহেদী হাসান নওগাঁ সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নওগাঁয় নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরাসহ ছাত্রনেতা আরমান। এসময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে প্রবেশ করে আরমানকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে আরমান মাটিতে লুটিয়ে পড়েলে তাকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা আরমানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। এসময় মেহেদী নামে আরেক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এরপর সেখান থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে সটকে পড়ে কিশোর গ্যাং।
এরপর আরমান ও মেহেদীকে ২৫০ শয্যা নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী জাহান বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর চাঁদাবাজিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সমর্থন চেয়ে আসছিল কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দেশীয় অস্ত্র ও অগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায় তারা।
আরও পড়ুন: ঢাকায় কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযানে মূলহোতাসহ ৩৫ জন গ্রেপ্তার
হামলায় আহত ছাত্রনেতা আরমান হোসেন বলেন, কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ওরা (কিশোর গ্যাং) আমাকে মারতে শুরু করে। এক পর্যায়ে স্কুলের পেছনে অন্ধকার একটা জায়গায় টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। এতে বাধা দিলে পকেট থেকে ছুরি বের করে আমাকে হত্যার চেষ্টা চালায় তারা। ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরলেও অভিযুক্তদের গডফাদাররা প্রতিনিয়ত আমাকে হুমকিতে রেখেছে। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।