তারা হলেন- মিনহাজুল ইসলাম ওরফে মিন্টু ওরফে শিকদার (৪০) এবং জাহিদুল ইসলাম (৩৮)।
আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেম উদ্দিনের ভাষ্য, বুধবার রাতে হত্যাসহ ১০টি মামলার আসামি ও উপজেলার ভরতেতুলিয়া গ্রামের আব্দুর রহমান পোড়ার ছেলে মিনহাজুল ইসলামকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশ তাকেসহ রাতে তিলাবদুরী গ্রামে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায়।
‘ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর সাথে সাথে মিনহাজুলের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এক পর্যায়ে মিনহাজুল নিহত হন,’ দাবি করেন ওসি।
তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও চারটি বোমা উদ্ধার করেছে।
অন্যদিকে পত্নীতলা উপজেলার বালুঘা গ্রামের রাফাতুল্লাহর ছেলে জাহিদুল ইসলাম পুলিশের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল কুমার চক্রবর্তী বলেন, জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় ১২টি মামলা রয়েছে।
ওসির ভাষ্য অনুযায়ী, বুধবার রাতে বালুঘা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশ তাকে নিয়ে মাদক উদ্ধার অভিযানে বাকরাইল গ্রামে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে জাহিদুলের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে তিনি নিহত হন।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি শাটারগান, দুটি গুলি, ৯৮৫টি ইয়াবা বড়ি এবং চারটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে।
মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের তথ্যমতে, গত বছর বাংলাদেশে তথাকথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অন্তত ৩৭৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৯৩ জন নিহত হন।