নাটোরে ধর্ষণ ও মানবপাচার মামলার পৃথক রায়ে তিন নারীসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে উভয় মামলার সকল আসামিই পলাতক রয়েছে।
বিশেষ পিপি অনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর নাটোর সদর উপজেলার চকতেবাড়িয়া গ্রামের এক কিশোরীকে পাচারের উদ্যেশ্যে তুলে পাবনার এক বাসায় নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। পরে তাদেরই একজনের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। এরপর ওই কিশোরীকে শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে অশ্লিল কর্মকাণ্ডে বাধ্য করে। সেখান থেকে পালিয়ে নাটোরে ফিরে আসার পর মামলা দায়ের করে।
প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য ও তথ্য প্রমাণ শেষে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামি হালিমা, আম্বিয়া, জেমি, নাইম ও আজবারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই অর্থ আদায় করে ভুক্তভোগীকে দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
এরপর একই আদালতে সিংড়া উপজেলার কুশাবাড়ি গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের অপর এক মামলার রায়ে আনছার আলী নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন বিচারক। ২০০৪ সালে রাতে দুঃস্থ ওই নারীর ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র ধরে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে আনছার আলী। তাকেও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং তা আদায় করে ভুক্তভোগীকে প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় ডাকাতির সময় হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড