নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় এক মাদরাসাছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই ইমামকে বৃহস্পতিবার নেত্রকোণা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত মঞ্জুরুল হক (২৫) দিগলী ফকির বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি একই উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের নোয়াদিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
পুলিশ ও মামলার অভিযোগ সূত্র জানায়, ইমাম মঞ্জুরুল ওই মসজিদে ইমামতি করার পাশাপাশি ভোরে স্থানীয় শিশুদের আরবী পড়াতেন। এর সুবাদে ওই মাদরাসা ছাত্রীর সাথে পরিচয় ঘটে মঞ্জুরুলের। পরিচয়ের এক পর্যায়ে ওই মাদরাসা ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে শিশু ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
ঘটনার দিন বুধবার রাতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়ির পেছনে জঙ্গলে ডেকে নিয়ে বাঁশঝাড়ের নিচে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির বাবা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে টর্চের আলোতে তিনি ধর্ষণের ঘটনাটি দেখতে পান। পরে তার চিৎকারে দৌড়ে পালিয়ে যায় মঞ্জুরুল।
এদিকে ঘটনার সংবাদ পেয়ে বুধবারই ইমাম মঞ্জুরুল হককে দিগলী গ্রাম থেকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় বুধবার রাতে মাদরাসা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ওই ইমামকে আসামি করে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
কেন্দুয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খান জানান, গ্রেফতারকৃত মঞ্জুরুল হককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ওই মাদরাসা ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।