এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১৬ কোটি ৪১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে এসব ঘরবাড়ি নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
আরও পড়ুন: শার্শায় ৫০ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের জন্য তৈরি হচ্ছে পাকা ঘর
জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে সদরে ৪৩, বারহাট্টায় ৪৫, আটপাড়ায় ৯৮, পূর্বধলায় ৫৩, দুর্গাপুরে ৩৫, কেন্দুয়ায় ৫০, কলমাকান্দায় ১০১, মদনে ৫৬, মোহনগঞ্জে ৩৬ ও হাওর উপজেলা খালিয়াজুরিতে ৪৪৩ গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রত্যেকটি পরিবারের নামে বরাদ্দকৃত এক লাখ ৭১ হাজার করে টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১৯ দশমিক ৬ ফুট বাই ২২ ফুটের দুটি শয়নকক্ষ, একটি রান্না ঘর, সংযুক্ত পায়খানা-গোসলখানা ও সামনে বারান্দাসহ রঙিন টিনের ছাউনি দ্বারা এসব ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুজিব বর্ষে ঘর পাচ্ছেন ফরিদপুরের দেড় হাজার গৃহহীন পরিবার
এছাড়া এসব পরিবারের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ এবং পানি সরবরাহে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) ব্যবস্থাপনায় প্রতি ১০টি পরিবারের জন্য একটি করে সাবমারসিবল পাম্প বসানো হচ্ছে। উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ তদারকির মাধ্যমে ঘর নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রকল্পে ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রবীণ ভূমিহীন ব্যক্তিদের উপকারভোগী হিসেবে বাছাই করা হয়েছে।’
নেত্রকোনা সদরের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ এরশাদুল আহমেদ বলেন, ‘সদরের বড়গাড়া এলাকায় ২২ জন, রাজেন্দ্রপুরে ১৪, লক্ষ্মীগঞ্জে চারজন ও ব্যক্তি উদ্যোগে দান করা জায়গায় তিনজনকে ঘর ও জমি দিয়ে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে ঘর পেল সুনামগঞ্জের ৩০টি গৃহহীন পরিবার
জেলার আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা সুলতানা বলেন, ‘উপজেলার শুনই, দুওজ ও সুখারী এই তিন ইউনিয়নে গুচ্ছগ্রাম-২ পর্যায় নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। উপজেলার সুখারি ইউনিয়নের সোনাজুর মৌজায় ২ একর ভূমির ওপর ২০টি, শুনই ইউনিয়নের ভরতোষী গ্রামে এক একর ৮৬ শতাংশের ওপর ৫০টি ও দুওজ ইউনিয়নের শ্রীপুর চারিগাতিয়া মৌজায় ২৮টি পরিবার পুনর্বাসনের কাজ চলছে। মোট ৯৮ জন ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন করা হবে।
এরই মধ্যে গৃহ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন আটপাড়া-কেন্দুয়ার সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৫ আল মামুন মুর্শেদ।’
আরও পড়ুন: কর্মকর্তার অবহেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেল না গৃহহীন পরিবারগুলো!
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘হাওড়াঞ্চলের ওই উপজেলায় ৪৪৩টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। হাওড়ে ঢেউয়ের ভাঙন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রভৃতি বিবেচনা করে সুবিধাজনক স্থানে তাদের জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। টেকসই ও সুন্দর ঘর নির্মাণ করা হয় তাই সব সময় তদারকি করা হচ্ছে।’
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা খানম বলেন, ‘উপজেলার চণ্ডীগড়, ফান্দা ও কৃষ্ণেরচর এলাকার ৩৫টি অসহায় ভূমিহীন গৃহহীন পরিবারকে নতুন ঘরে তৈরি করে স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ১৭৮টি গৃহহীন পরিবার পেলো নতুন ঘর
জেলা প্রশাসক কাজী মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘর ও জমি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এরই মধ্যে প্রত্যেকটি ঘরের নির্মাণকাজ চলছে।’