মঙ্গলবার সকালে ওই মাদরাসার তৃতীয় তলার ছাদ থেকে পড়ে নাঈম (৯) নামের এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে মাদরাসার কয়েকজন শিক্ষক জানিয়েছেন।
নিহত শিশু নাঈম এন আকন্দ আলীয়া মাদরাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক মুফতি মো. আব্দুল্লাহর ছোট ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাঈম প্রায় সময় বিছানায় প্রসাব করতো। এজন্য তার বাবা ওষুধও খাওয়াতেন। করোনার এসময়ে তিন দিন আগে তালিম নিতে মাদরাসায় শিক্ষকের কাছে পাঠায় অভিভাবক।
মাদরাসা কতৃপক্ষ জানায়, সোমবার দিবাগত রাতে বিছানায় প্রসাব করে দিলে শিক্ষক মো. খাইরুল ইসলাম তাকে ডেকে পাঠায়। ভয়ে সে পালিয়ে গেলে সকাল থেকেই বাবাসহ সকলেই খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে অন্য একটি ছেলেকে পাঠালে ছাদের উপরে পানির ট্যাংকির পিছনে পালিয়ে থাকা নাঈম ভয়ে পেছনের দিকে যেতে যেতে ছাদের কিনারে এসে পড়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে নাঈমের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে নাইমের মৃত্যুটি রহস্যজনক দাবি করে তার বড় ভাই ফারাবিসহ স্থানীয়রা জানায়, এতো উপর থেকে এরকম বয়সী কোন ছাত্র পড়ে গেলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম থাকতো এবং মারাত্নকভাবে আহত হয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেতলে যেতো। রহস্যজনক হলেও সত্য যে এত উপর থেকে পড়লেও তার শরীরে ছোট-বড় তেমন কোনো জখম হয়নি। আশপাশের মানুষও তা টের পায়নি।
ঘটনাস্থলে নেত্রকোণা মডেল থানার এসআই জলিলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মুত্যুটি রহস্যময় মনে হচ্ছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করলে প্রকৃত রহস্য বের হতে আসতে পারে।