তারা হলেন- ব্যবসায়ী মহিবুল ইসলাম নিপু (৪০), দোকান কর্মচারী রহমত উল্লাহ (৪৫) এবং আব্দুল খালেক (৩৫) ।
এছাড়া, আগুন নেভাতে গিয়ে সূবর্ণচর ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ম্যান স্বদেব সাহা (২৩) ও মো. মিলন (৪০) আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারা চেয়ারম্যান ঘাটের একটি দোকানে আগুন জ্বলতে দেখেন। প্রথমে স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে রাত ১০টার দিকে পার্শ্ববর্তী উপজেলার ফায়ার স্টেশনে খবর দেয়।
সূবর্ণচর উপজেলার ফায়ার স্টেশনের সাব অফিসার মোহাম্মদ নুর নবী জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান। দোকানে বিপুল পরিমাণ তেল ও সিলিন্ডার গ্যাস থাকায় আগুনের তীব্রতা দ্রুত পার্শ্ববর্তী দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ৩০ কিলোমিটার দূরে জেলা সদর মাইজদী ফায়ার স্টেশন থেকে আরও একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এ দুটি ইউনিট।
তিনি আরও জানান, এ সময় দমকল কর্মীরা স্থানীয় লোকদের সহায়তায় অগ্নিদগ্ধ দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। এর আগে অগ্নিদগ্ধ আহত অবস্থায় এক দোকান কর্মচারীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে মঙ্গলবার ভোর রাতে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
প্রাথমিকভাবে তেলের দোকান থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন মজুমদার জানান, তেল ও গ্যাসের আগুন নেভাতে পানির পাশাপাশি ৫০ লিটার কেমিক্যাল ফোম ব্যবহার করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে প্রাথমিকভাবে সাতটি মুদি, দুটি মোবাইল, তিনটি প্লাস্টিক সামগ্রী, একটি জ্বালানি তেল ও এলপি গ্যাস এবং দুটি ফার্মেসিসহ মোট ১৫টি দোকান মালামালসহ পুড়ে গেছে।
তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নিরূপণের জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের সুপারিশ জানিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তর ঢাকায় বার্তা পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’