ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়ায় বিধ্বস্ত বেড়িবাধ দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চ জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় ৯টি গ্রাম পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওইসব গ্রামের প্রায় ৮ হাজার মানুষ।
এছাড়া রাঙ্গাবালী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরের সকল নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলসহ ৭টি গ্রাম ৩ থেকে ৪ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। চর মোন্তাজ ইউনিয়নের চর আন্ডার বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় সহস্রাধিক মানুষ।
ফলে এইসব এলাকার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। কয়েকশ পুকুর ও ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। রাতের জোয়ারে আরও পানির চাপ বাড়তে পারে বলে শঙ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: 'ইয়াস' মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
এদিকে, কলাপাড়ার নীলগঞ্জের ইউনিয়নে যে কোন সময় প্লাবিত হতে পারে অন্তত ১২টি গ্রাম। এতে পানিবন্দি হওয়ায় শঙ্কায় রয়েছে ১২ হাজার মানুষ।
ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষের নিরাপদ আশ্রয়সহ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গাবালি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসফাকুর রহমান ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক।