গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলো- কাহালু থানার ডোমরগ্রাম পূর্বপাড়ার মো. নওশের খানের ছেলে মো. ওবাইদুর খান (৪০) এবং জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানার সহলাপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে এবং হিলারীর মুরগী ফার্ম ও পুকুরের পাহারাদার মো. সুজন (২২)।
পুলিশ জানায়, পরকীয়া প্রেমের জেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা।
বগুড়া জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ৭টায় কাহালু থানার মুরইল ইউনিয়নের ডোমরগ্রাম সাকিনের ডোমরগ্রাম খাঁ পুকুর কবর স্থানের পার্শ্বে মাটিতে পুঁতে রাখা কলেজছাত্র আল মাহমুদ ওরফে আরমান হোসেন ওরফে আন্নার মৃতদেহ উদ্ধার করে কাহালু থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মো. সুজন জানায়, স্ত্রীর সাথে নিহত আল মাহমুদ ওরফে আরমান হোসেন ওরফে আন্নার পরকীয়া সম্পর্কের কারণে আসামি মো. ওবাইদুর খান কলেজছাত্র আন্নাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৪০ হাজার টাকার চুক্তিতে আসামি মো. সুজন আন্নাকে গত রবিবার বাড়ির পার্শ্বে ডেকে আনে। পরে আন্নাকে নেশাজাতীয় পানীয় পান করালে সে ওবাইদুরের গোয়ালঘরে শুয়ে পড়ে এবং পরে তার গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামিরা। পরে আন্নার মৃতদেহ খাঁ পুকুর পারের কবরস্থানের পার্শ্বে মাটিতে পুঁতে রাখে তারা।
এতে আরও জানানো হয়, আসামি সুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এবং অপর আসামি মো. ওবাইদুর খানকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।