পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় চাচাতো ভাইয়ের গুলিতে ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত বীরু মোল্লা (৬০) লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা জহুরুল মোল্লা ও নিহত বীরু মোল্লা আপন চাচাতো ভাই।
বীরু মোল্লার ছেলে প্রত্যক্ষদর্শী রাজিব মোল্লা জানান, গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা জহুরুল মোল্লা ও তার ছেলে আল আমিন মোল্লা বাবার জমি থেকে ইটভাটার জন্য জোরপূর্বক মাটি কেটে নেন। এ বিষয়ে আজকে (বুধবার) সকাল সোয়া ৯টার দিকে জহুরুল মোল্লাকে মাটি কাটার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে গেলে তাৎক্ষণিক ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি ও তার ছেলে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে আমার বাবার মাথায় গুলি করেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটে পড়লে এলাকাবাসী তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাসনিম তামান্না তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজমল হোসেন সুজন বলেন, আমার দলের নেতাকে যারা হত্যা করেছে, তাদের দ্রত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এটা কোনো দলীয় বিষয় নয়। বীরু মোল্লা অভিযুক্ত জহুরুল মোল্লার আপন চাচাতো ভাই। এই হত্যাকাণ্ড মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে।
ঈশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান বলেন, বীরু মোল্লা নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুপুর সাড়ে ৩টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো মামলা করা হয়নি বলে জানান ওসি।