চাঁদমারী মাউরাপট্টি সেকশনমাঠ এলাকায় শুক্রবার রাতে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- চাঁদমারী এলাকার মো. রাসেল মিয়া ওরফে রাসেল (১৮), মো. জালাল (১৮), মো. আমিনুল ইসলাম (২৩), মো. জনি ওরফে শফিকুল ইসলাম (১৮), মো. জাকির হোসেন ওরফে জাকির (১৮), মো. আনোয়ার (১৮), মো. জুয়েল রানা (২২), মো. আবু নাঈম (১৮), মো. ফেরদৌস ইসলাম (১৮), মো. আব্দুল্লাহ ওরফে শুভ (২৪) ও মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে শান্ত (১৮)।
শনিবার র্যাব-১১ এর সিনিয়র এএসপি মো. সুমিনুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, তারা সবাই দুষ্কৃতিকারী ও কিশোর গ্যাং গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা ঘাটে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও জনমনে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল।
এছাড়াও ওই এলাকায় কোনো অপরিচিত লোক আসলে জিম্মি করে মূল্যবান জিনিসপত্র জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত ৮ অক্টোবর কিশোর গ্যাং গ্রুপের উক্ত সদস্যরা অপর এক কিশোরকে অপহরণ করে চাঁনমারী মাউরাপট্টি সেকশনমাঠ এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ভবনে আটকে রাখে এবং মারধর করে তার কাছে থেকে নগদ ৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে অপহৃতের মায়ের কাছ ফোন করে নগদ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহৃতের মা ১০ হাজার দিবে বলে জানায়। এরপর অপহৃতের মা র্যাবের কাছে একটি অভিযোগ করে।
অপহৃতের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-১১ ঘটনার সত্যতা পেয়ে গত শুক্রবার রাতে র্যাব-১১ এর বিশেষ একটি আভিযানিক দল অপহৃতকে উদ্ধার করে উক্ত কিশোর গ্যাং এর ১১ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করে।