ফরিদপুর, ২৮ মে (ইউএনবি)- ফরিদপুরের নয় উপজেলায় ১৮ হাজার ৭শ ৩০ ব্যক্তি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকার অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। তবে জেলা প্রশাসক ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে অনিশ্চয়তার কোনও কারণ নেই, দ্রুতই দেওয়া হবে কোভিড-১৯ এর টিকা।
আরও পড়ুন: ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকার সুযোগ আছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ফরিদপুর সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাকের) সভাপতি অ্যাড. শিপ্রা গোস্বামী এ বিষয়ে বলেন, সরকার টিকা আমদানির চেষ্টা ত্রুটি করছে না, তবে প্রথম ডোজ দেওয়ার সময় পরিকল্পনা করার দরকার ছিলো দ্বিতীয় ডোক কত জনকে দেওয়া সম্ভব হবে। তাহলে মানুষের মাঝে অনিশ্চয়তায় সৃষ্টি হতো না।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছীদ্দিকুর রহমান জানিয়েছেন, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রাপ্ত কোভিড-১৯ প্রতিরোধক টিকার প্রথম ডোজ দেয়া সম্পন্ন হয়েছে ৬৩ হাজার ৬৬৩ জন ব্যক্তিকে। এর বিপরীতে দ্বিতীয় ডোজ টিকা এখন পর্যন্ত দেওয়া শেষ হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৩৪ ব্যক্তিকে। এরমধ্যে বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে ফরিদপুর সদর উপজেলাতে। সদরে দেওয়া হয়েছে প্রথম ডোজ ২০,৮৫৬ ব্যক্তিকে। এখন জেলায় দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া বাকি রয়েছে ১৮ হাজার ৭৩০ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ফাইজারের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন
তিনি বলেন, আমাদের সিরামের টিকা স্টক শেষ হয়েছে তিন দনি আগে। পরে গত দুইদিন পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ৬০ ভাইরাল সংগ্রহ করে ৬শ ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে। এখন (আজ) আমাদের কাছে কোনো টিকা নেই।
জেলার এই শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, টিকা আনার চেষ্টা চলছে। আশা করা হচ্ছে চলে আসবে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তার কোনও কারণ নেই উল্লেখ করে বলেন, এ ব্যাপারে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।