চাল-ডাল-তেল-সাবানের সাথে এখন এখানে রোজাদারদের সুবিধার্থে পাওয়া যাচ্ছে খেজুর-তরমুজ এমনকি বেল-কলাও। এখানকার ক্রেতাদের সুবিধার্থে এখানে যুক্ত হয়েছে হটলাইনেও এসব পণ্য ক্রয়ের সুবিধা। কোনোপ্রকার সার্ভিস চার্জ ছাড়াই নামমাত্র পরিবহন খরচ দিলেই সাধারণ ক্রেতার বাড়ি পৌঁছে দেয়া হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত পণ্য।
ফরিদপুর জেলা যুবলীগের উদ্যোগে এই কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক যুবলীগের কর্মী।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত মাসের ৪ এপ্রিল ১০টি ট্রাকযোগে শহরের বিভিন্ন পাড়ামহল্লায় ঘুরে ঘুরে এসব পণ্য স্বল্প মূল্যে বিক্রি শুরু হয়। পণ্যের মূল্যে কম থাকার কারণে ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ায় ২০টি স্থানে বসানো হয় নিত্যপণ্যের এই দোকান।
ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি এএইচএম ফোয়াদ বলেন, সরকার গত ২৫ মার্চ হতে মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়ার পর ফরিদপুর সদর আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নির্দেশনায় এই কর্মসূচি চালু করা হয়। এই উদ্যোগে আমরা জনগণের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। ইতোমধ্যে শহরের প্রায় ৩৫ হাজার পরিবার এই ভ্রাম্যমাণ বাজারের সুবিধা নিয়েছেন। আমরা এখন হটলাইনে সেবা চালু করেছি। চলমান দুর্যোগে অনেকে ঘর হতে বের হতে না চাইলেও আমাদের কর্মীরা চাহিদা মোতাবেক বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে কোনো চার্জ ছাড়াই।
তিনি বলেন, যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন চলবে এই কার্যক্রম।
ক্রেতা সাইফুর রহমান বলেন, প্রতিটি পণ্যই বাজার দরের চেয়ে কম মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। চালু হওয়ার পর আমার মতো অনেকেই এখান থেকে পণ্য কিনতে আসছেন।
ভ্রাম্যমাণ নিত্যপণ্যের বিক্রি কর্মসূচির তত্ত্বাধায়ক শহর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম নাসিম বলেন, গত এক মাসে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডিম বিক্রিসহ প্রায় ৮০ টন চাল, ২৫ টন চিনি, ২০ টন করে ডাল, পেঁয়াজ ও তেল, ১৫ টন করে ছোলা ও আলু, ২ টন খেঁজুর ও ৪ টন লবণ বিক্রি হয়েছে। খাবার ও গৃহস্থালীর যাবতীয় নিত্যপণ্যই এখানে পাওয়া যাচ্ছে।