অবশেষে এলাকাবাসীর দাবির মুখে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেসের রুট আপাতত পরিবর্তন করা হচ্ছে না। ট্রেন দুটি বেনাপোল ও খুলনা থেকে ছেড়ে রাজবাড়ী, ফরিদপুর ভাঙ্গা স্টেশন হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে।
মঙ্গলবার একই দাবিতে রাজবাড়ী ও ফরিদপুর রেলস্টেশনে জেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মদ্যপানে আরও এক কিশোরীর মৃত্যু
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি সমন্বয়ক আরবার ইতু বলেন, বিগত সরকারের সময় এই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু করার পর সেটি লাভজনক অবস্থায় যায়। প্রতিদিনই আপডাউন ট্রেনের সিট ফাঁকা থাকে না। তাহলে কেন এই রুটের ট্রেন পরিবর্তন করতে হবে। ফরিদপুর রাজবাড়ি কুষ্টিয়াসহ আশেপাশের জেলার মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই কোনোভাবেই এ রুটের ট্রেন দুইটিকে বাতিল করা চলবে না। প্রয়োজনে অন্য রুটে নতুন ট্রেন সংযোজন সংযোজন করা হোক।
ফরিদপুর রেলওয়ের সহকারী স্টেশনমাস্টার সুজাত আলী সরদার বলেন, ‘সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের কোনো নির্দেশনা আমাদের কাছে এখনও আসেনি। রেল মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আমাদেরকে এখন পর্যন্ত লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো কিছু জানানো হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, আন অফিসিয়ালি আমরা জানতে পেরেছি যে এই রুটের বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের ন্যায় রুটিন অনুযায়ী বেনাপোল এক্সপ্রেস এবং সুন্দরবন এক্সপ্রেস চলাচল করবে।
এর আগে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ‘রাজবাড়ী এক্সপ্রেস-১০৫’ ট্রেন রাজবাড়ী রেলস্টেশনে আটকে বিক্ষোভ করেন। একই দাবিতে রবিবার ‘মধুমতী এক্সপ্রেস’ ও ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ট্রেন আটকে রেখে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে ফরিদপুর-রাজবাড়ীর ওপর দিয়ে বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস নামের দুইটি ট্রেন চলাচল শুরু করে। এতে অল্প সময়ে ঢাকায় যাওয়া-আসার সুযোগ হয় ফরিদপুরসহ আশপাশের কয়েক জেলার মানুষের।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মদ্যপানে ২ কলেজছাত্রীর মৃত্যু