অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম সাকিব উপজেলার সুজাপুর গ্রামের সারেং বাড়ির মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।
পুলিশ গত শনিবার রাতে তাকে আটক করার পর রবিবার রাতে তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী।
সোমবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সাকিব ও এলাকার কয়েক ব্যক্তিসহ ১১ জন মিলে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে বলে মডেল থানায় অভিযোগ করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, সাকিবের সাথে পাশের বাড়ির কুয়েত প্রবাসীর নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ের কথাবার্তাও হয়। কিছুদিন আগে রাতের বেলায় সাকিব তার প্রেমিকার সাথে কথা বলতে তাদের বাড়িতে যায়। এলাকার কয়েক যুবক তাদেরকে দেখে চিৎকার শুরু করলে সে সটকে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার কয়েক ব্যক্তির যোগসাজশে সাকিব তার প্রেমিকাকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা না করলে সে তাকে বিয়ে করবে না বলে চাপ প্রয়োগ করে। সম্পর্ক রক্ষায় বাধ্য হয়ে সে ওই যুবকদের নামে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করে।
মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম পলাশ বলেন, থানায় অভিযোগ দেয়ার পর স্কুলছাত্রীকে প্ররোচিত করে তাকে ১১ জন মিলে ধর্ষণ করেছে এমন ভিডিও তৈরি করে সাকিব সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মানুষের কাছে পাঠায়। বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে স্কুলছাত্রীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সবকিছু স্বীকার করে। পরে স্কুলছাত্রী স্বেচ্ছায় তাকে বিয়ের প্রলোভনে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ধর্ষণ করেছে উল্লেখ করে রবিবার রাতে সাকিবের নামে মামলা দায়ের করে।
তিনি আরও বলেন, স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে জবানবন্দি নেয়ার জন্য তাকে ফেনীর জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে।