ফেনীতে সংবাদ প্রকাশ করায় ওমর ফারুক নামের এক সংবাদকর্মীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির সংবাদ প্রকাশের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর সিলোনীয়া মাদ্রাসা-সংলগ্ন সালেহ আহমেদের দোকানের সামনে ফারুকের ওপর হামলা করেন কয়েকজন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এছাড়া হামলাকারীরা ২৫ ফেব্রুয়ারি তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে হুমকি দিয়ে আসেন বলেও অভিযোগ করেছেন ওমর ফারুক।
তিনি দৈনিক ইনকিলাবের ফেনী সংবাদদাতা।
খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে আহত সাংবাদিকের সঙ্গে দেখা করেন পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুজ্জামান ও স্থানীয় সাংবাদিকরা।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের হামলায় ওমর ফারুক ঘাড়, মাথা, বুক ও কোমরে আঘাত পেয়েছেন।’
ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।’
আরও পড়ুন: ‘জামায়াত নেতার নেতৃত্বে’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার বাড়িতে হামলা
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ হামলায় জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এ ঘটনায় রিপোর্টার্স ইউনিটি, ফেনী প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ফেনী জেলা শাখা ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া মামলার প্রস্তুতিও চলছে।
গত ৪ জানুয়ারি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার ‘ফেনীতে হত্যা মামলার আসামি তাঁতী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বালু লুটের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিক ওমর ফারুক। ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়—বালু লুটে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন জেলা যুবদল নেতা শিপন, ইউনিয়ন যুবদল নেতা জামাই ফারুক, ইউনিয়ন তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা শ্রমীক দল নেতা মামুন, সদর উপজেলা ছাত্র দলের সাবেক সেক্রেটারী রাফিকসহ অনেকেই। এর পরেই তার ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে।