প্রতিবেশী থেকে চাল ধার করে সর্বশেষ দুপুরে রান্না হয়েছিল। রাতে সেই হাড়ির তলায় থাকা কয়েক মুঠো ভাত ভাগাভাগি করে নেন মা, একমাত্র সন্তান ও ছোট বোন। কিন্তু উপোস থেকে আর সকালের কথা চিন্তা করে চোখে ঘুম ছিল না সুশান্তের। শেষে পরিবারের ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে দিশেহারা হয়ে পুলিশকে ফোন দেন তার স্ত্রী অঞ্জলি। আর ফোন পেয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে খাবার নিয়ে হাজির হয়ে যায় পুলিশ।
অঞ্জলি রায় নামে ওই গৃহবধূর বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে করা ফোন পেয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের খাবারের ব্যবস্থা করেন। বাঘারপাড়ার খাজুরা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জুম্মান খান ও উপপরিদর্শক হযরত আলী ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন।
খাবারের প্যাকেট হাতে পেয়ে অঞ্জলি বলেন, ‘যাদের খাবার দেয়ার কথা তারাই আজ দিল না। অথচ সেখানে পুলিশ এসে খাবার দিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের দেয়া এ খাবার না পেলে পর দিন না খেয়ে থাকতে হতো।’
আবেগ আপ্লুত অঞ্জলি বলেন, ‘এ ঋণ কোনো দিনই শোধ করতে পারব না। তবে যত দিন বাঁচব তাদের জন্য ভগবানের কাছে আশির্বাদ করব।’
অঞ্জলির বৃদ্ধা শাশুড়ি অনিতা রায় বলেন, ‘সারাজীবন দেখিছি পুলিশ ধরে নিয়ে যায় মারে। বাড়ি আসে তারা অন্ন দেয় এই পেত্তম দেকলাম’।