সোমবার বগুড়া শহরের তিনমাথা পুরান বগুড়া রেলগেট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
তীর সংগঠন জানিয়েছে, বগুড়া শহরের তিনমাথা রেলগেট এলাকায় একটি মাছের আড়তে সোমবার সকালে বস্তায় ভরে কাছিমগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা হয়। সেখান থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির সময় সরকারি আজিজুল হক কলেজের পরিবেশবাদী সংগঠন তীরের সদস্যরা সংবাদ পেয়ে আড়ৎ থেকে কাছিমগুলো উদ্ধার করে বন বিভাগকে খবর দেয়। পরে বন বিভাগের সদস্যরা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে রফিকুল ইসলাম ও গোবিন্দ রায় নামে দুইজনকে আটক করে।
এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ডলফিনের পর কাছিম হত্যা, রক্ষায় কোনো উদ্যোগ নেই
পরিবেশবাদী সংগঠন তীরের সাবেক সভাপতি আরাফাত রহমান জানান, বন অধিদপ্তরের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিকের উপস্থিতিতে উদ্ধারকৃত কাছিমগুলো গুনে দেখা যায় সেখানে ৩৫টি কাছিম রয়েছে। যার ওজন ৩৭ কেজি। উদ্ধারকৃত কাছিমগুলো দেশীয় সুন্ধী প্রজাতির।
এ সময় তীরের সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক রিফাত হাসান, সহ সভাপতি মুকিম মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ আহসান হাবীবসহ বন প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় চুরি হওয়া ৪ গরু সিরাজগঞ্জে উদ্ধার
আটককৃত রফিকুল ইসলাম ও গোবিন্দ চন্দ্র রায় জানান, তারা বিক্রির জন্য নোয়াখালী, ভৈরব ও মুন্সিগঞ্জ থেকে কাছিমগুলো সংগ্রহ করে। প্রতি মাসে তারা এ রকম দুই থেকে তিনটি চালান বিক্রি করে থাকেন। তিনমাথা রেলগেট আড়ৎ থেকে কাছিমগুলো দেশের বাইরে পাচার করা হয়।
বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিক জানান, প্রতি কেজি কাছিম ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়।
উল্লেখ্য, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী কাছিম ধরা, শিকার, ক্রয় বিক্রয়, খাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। উদ্ধারকৃত কাছিমগুলোর নাম সুন্ধী কাছিম। একসময় সারা দেশেই এই প্রজাতির কাছিম পাওয়া যেত। তবে অতি আহরণের কারণে এখন তারা বিলুপ্ত প্রায়।