বগুড়ার শিবগঞ্জের দেউলিতে ‘৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে’ নির্মিত বাড়ির মালিক সাখওয়াত হোসেন টুটুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে ৯ কোটি ৩২ লাখ ১৩ হাজার ৮৬১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের হয়। দুদকের বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান বাদী হয়ে রবিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে এ মামলা করেন।
সাখওয়াত হোসেন এএইচজেডি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও বগুড়ার শিবগঞ্জের দেউলি গ্রামের মৃত আব্দুল হাই সরকারের ছেলে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আ.লীগ নেতা দুলুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জানা যায়, সাখওয়াত হোসেন টুটুল তার গ্রামে শ্বেতপাথর দিয়ে প্রাসাদোপম বাড়ি নির্মাণ করেছেন। ২০০৬ সাল থেকে ১০ বছর ধরে এক একর জমিতে বাড়িটি নির্মাণে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে কথিত আছে। তবে সেই বাড়িতে কেউ বসবাস করেন না। সাখাওয়াত সপরিবারে ঢাকায় থাকেন।
এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকার মতিঝিল থানায় রূপালী ব্যাংকের দিলকুশা শাখা থেকে ৯৩ কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম একটি মামলা করেন।
মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি কারাগারেও ছিলেন কিছু দিন।
দুদকের বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান বলেন, সাখাওয়াত হোসেনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ দেওয়া হলে তিনি ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
বিবরণীতে দেখা যায়, তার স্থাবর-অস্থাবর মিলে সম্পদের পরিমাণ ১৮ কোটি ৫৭ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৭ টাকা। কিন্তু যাচাইকালে তার স্থাবর-অস্থাবরসহ মোট গ্রহণযোগ্য সম্পদ পাওয়া যায় ৯ কোটি ২৫ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬৭ টাকার।
এই হিসাবে সাখাওয়াত জ্ঞাত-আয়বহির্ভূতভাবে ৯ কোটি ৩২ লাখ ১৩ হাজার ৮৬১ টাকার সম্পদ ভোগ-দখলে রেখেছেন।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করায় দুদক আইন-২০০৪ সালের ২৭-এর (১) ধারায় সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা দুলুর দুর্নীতি মামলার বিচার ১ বছরে শেষ করার নির্দেশ