বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপকূলীয় এলাকায় বৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে লবণবাহী ৪টি ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হয়েছে ট্রলারে থাকা ৩০ জন মাঝি-মাল্লা।
বুধবার (৮ মে) দুপুরে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি: স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ এখনও নিখোঁজ কনস্টেবল, পরিবারে চলছে আহাজারি
স্থানীয় সূত্রে জানায়, সকালে কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী এলাকা থেকে লবণ নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে আসার পথে বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঝড় ও ঢেউ এ আটকে পড়ে বেশ কয়েকটি ট্রলার।
এসময় প্রচণ্ড দমকা হাওয়ায় উল্টে সাগরে ডুবে যায় লবণবাহী ট্রলার ও মাঝি মাল্লাররা। পরে খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। চারটি ট্রলার ৩০ জনকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া মাঝি মাল্লাররা সুস্থ রয়েছে।
বার আউলিয়া ট্রলারের মাঝি ফারুক বলেন, কুতুবদিয়া থেকে আসার সময় সকালে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে ট্রলার উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। আমাদের সঙ্গে আরও কয়েকটি ট্রলার ডুবে যায়। কূলের কাছাকাছি হওয়ায় তেমন ক্ষতি হয়নি। সবাই কূলে উঠে গেছে। তবে ট্রলার ডুবে লবণের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গহিরা বার আউলিয়া নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিটু দত্ত বলেন, আনোয়ারা উপকূলে বঙ্গোপসাগরে কয়েকটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ করে ১২ জনকে উদ্ধার করি।
পরে চারটি ট্রলারও চিহ্নিত করা হয়। এখন তীরে তোলার জন্য কাজ চলছে। এছাড়া কোস্টগার্ডও আরও কয়েকজনকে উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে সাগরে আর নিখোঁজ কেউ নেই।
এদিকে খবর নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালীসহ বিভিন্ন উপকূলে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবেছে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি: আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯