বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও অমাবশ্যার প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের ৯টি নদ-নদীর পানির প্রবাহ বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ফলে নদীর তীরের জনপদ ও চরাঞ্চল দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
সোমবার দুপুরের পর বরিশাল নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কীর্তণখোলা নদীর পানি প্রবেশ করে নগরীর নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। ওই এলাকাগুলোর সড়ক ও বাসাবাড়ির উঠান পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে পানি জমে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপরে
সোমবার বিকাল থেকে বরিশাল নগরীর রসুলপুর, ভাটিখানা, সাগরদী, ধান গবেষণা রোড, জিয়ানগর, ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোড, স্টেডিয়াম কলোনি নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোড জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। কীর্তণখোলার সঙ্গে যুক্ত ড্রেন দিয়ে এসব এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। গত কয়েকদিন তীব্র গরমের পর সোমবার সকাল থেকে বরিশালে মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করছে এবং দমকা বাতাস বইছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বাড়ছে পানি: বাঁধের দিকে ছুটছে মানুষ
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান নদী মেঘনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে। ফলে মেঘনার সঙ্গে সংযুক্ত তেতুলিয়া, কীর্তনখোলা, আড়িয়াল খাঁ, কালাবদর নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। একই কারণে বঙ্গোপসাগরের যুক্ত পায়রা, বিষখালী, কচা এবং সন্ধ্যা নদীর পানিও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।