আবুল কালামের বাড়ি ওই এলাকার চাঁকাঠী গ্রামে।
এর আগেও তার বিরুদ্ধে গাছ চুরির অভিযোগ ছিল। তার সাথে বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসী, চোরাকারবারি ও দুষ্টুলোকের সখ্যতা আছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাউর গাছ: রূপে-গুণে অনন্য
এলাকার বন প্রকল্পের উপকারভোগী আবদুল জলিল মাস্টার সম্প্রতি বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালামসহ ৭-৮ জন কালিশুরী বন্দর থেকে বাহিরচর সড়কের পাশে সামজিক বনায়ন প্রকল্পের শোভাবর্ধনকারী বেশ কিছু মূল্যবান কাছ কেটে ফেলেন। গাছগুলো স্থানীয় পরিবহনে করে ট্রলারে ভরার সময় প্রকল্পের উপকারভোগী সমিতির সভাপতি জলিল মাস্টারসহ অন্য সদস্যরা দেখে ফেলেন এবং সাথে সাথে গাছ নিতে বাঁধা দেন।
আরও পড়ুন: গাছের ঘনত্ব বাড়ায় সুন্দরবনে মধু ও মোম উৎপাদন বেড়েছে
এ সময় আবুল কালাম গাছ ভর্তি ট্রলার নিয়ে দ্রুত গতিতে চলে যান। পরে তিনি ফিরে এসে গাছ নিতে বাঁধাদানকারীদের নামে মামলা দেয়াসহ জীবননাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন জলিল মাস্টার।
গত ২৯ ডিসেম্বর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা পটুয়াখালীর বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে অভিযোগকারী ভয়ে নিরুদ্দেশ আছেন বলে তার পরিবারের দাবি।
আরও পড়ুন: শত্রুতার বলি হলো ২৫০ লাউ গাছ
জলিল মাস্টারের পরিবার আরও জানায়, সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের সুফলভোগীরা আবুল কালামের মামলা ও হয়রানির ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত।
অভিযোগের বিষয়ে আবুল কালাম মুঠোফোনে বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যান গাছ জব্দ করে তার হেফাজতে রেখেছেন। যে লোক আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন তিনি অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেবেন বলে জানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ৬ শতাধিক কলাগাছ ও হলুদ খেত কেটে দিল দুর্বৃত্তরা
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আবুল কালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। দোষী সাব্যস্ত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’