ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’মোকাবিলায় বাগেরহাটের ৯টি উপজেলায় ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন।
এদিকে উপকূলজুড়ে শঙ্কায় রয়েছে বেড়িবাঁধের পাশে আশ্রয় নেওয়া মানুষেরা। তারা নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমাল: খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪ আশ্রয়কেন্দ্র
বাগেরহাট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে বাগেরহাটের নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে এক থেকে দেড় ফুট পানি বেড়েছে। সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশ জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বঙ্গোপসাগর প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে।
এদিকে বন্দরে অবস্থানরত সব বাণিজ্যিক জাহাজকে চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপদ দূরত্বে নোঙর করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫১ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনা খাবার মজুত রাখা হয়েছে। জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। সিপিপির ৩ হাজার ১৮০ জন সদস্য এবং রেডক্রিসেন্ট, রোভার, বিএনসিসি, সেচ্ছাসেবক সংগঠনের প্রায় ৫০০ সদস্য প্রস্তত রয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া বিভাগের সংকেতের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ হচ্ছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে এক থেকে দেড় ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হয়েছে।
কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপান্তরিত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। এরূপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণ, মৎস্যজীবী ও নৌযান সমূহ ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন উপকূলীয় অঞ্চলে জনসচেতনাতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
জনসচেতনতামূলক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুন্দরবন উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকায় কোস্টগার্ড স্টেশন এবং আউটপোস্ট সমুহ মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করছে। ঘূর্ণিঝড়ের বিপদজনক পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষার জন্য নিকবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়ের জন্য সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে: বিএমডি