তারা হলেন- নিহত শিশুর বাবা মোড়েলগঞ্জ উপজেলার গাবতলা গ্রামের সুজন খান (৩০), চাচা রিপন খান (২৪) ও ফুফা হাসিব খান (২৮)।
সোহানা সুজনের দ্বিতীয় পক্ষের প্রথম মেয়ে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, শিশুটিকে মায়ের কোল থেকে চুরি করে নিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তদন্ত করছে। শিশুটির স্বজনসহ প্রতিবেশী কয়েকজনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শিশুটির বাবা, চাচা এবং ফুফাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনার সাথে জড়িতদের আদালতে পাঠানো হবে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির জানান, বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে ১৭ দিন বয়সী শিশু সোহানার লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করার সময় শিশুটির মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আঘাতের কারণে মাথায় রক্তক্ষরণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে পচন ধরায় মনে হচ্ছে, শিশুটিকে তিনদিন আগেই হত্যার পর লাশ পানিতে ফেলে দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে শান্তা-সুজন দম্পতি তাদের শিশু মেয়ে সোহানাকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ১টার দিকে শান্তা ঘুম ভেঙে দেখে বিছানায় শিশুটি নেই। ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় রয়েছে। এরপর থেকে শিশুটিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এঘটনায় শিশুটির দাদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে সোমবার রাতে মোড়েলগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।