বান্দরবানের রুমায় দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর ওপর কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) অতর্কিত হামলায় দুই সেনাসদস্য (সৈনিক) নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুই সেনাসদস্য (অফিসার)।
আহত দুই সেনাসদস্য বর্তমানে চট্টগ্রাম সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে কুকি-চিন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুলিতে সেনা ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ (বুধবার) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
নিহত দুই সেনাসদস্য হলেন-মো. আলতাফ আহম্মদ এবং মো. তোহিদ। তারা রুমা ২৮ বীর সেনানিবাস সৈনিক।
আহত দুই সেনাসদস্য হলেন-ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক আহম্মদ শওকত এবং মেজর মনোয়ার।
তারাও রুমা ২৮ বীর সেনা বাহিনীর অফিসার।
আইএসপিআর জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবানের রুমা উপজেলার অন্তর্গত সুংসুংপাড়া সেনা ক্যাম্পের আওতাধীন জারুলছড়িপাড়া নামক স্থানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানার খবর পেয়ে সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্প হতে মেজর মনোয়ারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টহল দল মঙ্গলবার (১৬ মে) দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থানে গমনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ৩ জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার, আহত ১
উক্ত টহল দলটি জারুলছড়ি পাড়ার নিকটস্থ পানির ছড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সন্ত্রাসীদের ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ও অতর্কিত গুলিবর্ষণে পতিত হয়।
এতে দুইজন সেনা অফিসার ও দুই জন সৈনিক আহত হয়।
পরে আহত সেনাসদস্যদের বিমানযোগে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়।
পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত সৈনিকদ্বয় মৃত্যুবরণ করেন এবং আহত অফিসারদ্বয় বর্তমানে চট্টগ্রাম সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এর আগে, ১৩ মার্চ, বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলায় সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী দল কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) সদস্যরা একটি টহল দলের ওপর গুলি চালালে একজন সিনিয়র সেনা ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত এবং দুই সৈন্য আহত হয়।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার গহীন অরণ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।