এ ঘটনায় শিশুটির বাবা চিকিৎসক রকিউর রহমান গৃহপরিচারিকাকে আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
মামলার এজাহা বলা হয়েছে, ক্রিস্টাল প্যালেসের ৮ তলায় বি ফ্ল্যাটে বাস করেন চিকিৎসক দম্পতি রকিউর রহমান ও শারমিন আক্তার। তাদের ১০ বছর ও ৭ বছর বয়সী দুই মেয়ে আছে। তারা স্কুলে পড়ে। এছাড়া ১৪ মাস বয়সী এক ছেলে শিশু আছে। প্রতিদিন সকালে চাকরিজীবী দুজন চিকিৎসক কর্মস্থলে যান। ছোট দুই মেয়ে স্কুলে চলে যায়। এ সময় একমাত্র ১৪ মাসের শিশু বাসায় গৃহপরিচারিকা রেখা খাতুনের কাছে থাকে। কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে প্রায়ই দেখতে পান শিশুর শরীরে জখমের চিহৃ। রেখাকে জিজ্ঞাসা করলে জানায় ঘরের আসবাবপত্রের সাথে আঘাত লেগে এমন হয়েছে। এতে ছেলের মানসিক অবস্থাও খারাপ হতে থাকে। বিষয়টি সন্দেহ হলে বাসার ভেতরে গোপনে সিসি ক্যামেরা লাগান তারা।
গত ১৪ মার্চ বাসা থেকে বের হলে স্ত্রী শারমিন আক্তার কর্মস্থল থেকে সকাল সোয়া ১০টার দিকে দেখতে পান গৃহপরিচারিকা রেখা শিশুপুত্র শাহাম রহমানের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধর করছে। এঘটনা দেখার পর দ্রুত বাসায় ফিরে যান তিনি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আরও খতিয়ে দেখতে পান রেখা শিশুটির গোপনাঙ্গসহ বিভিন্ন জায়গায় মারধর করে এবং মাথার চুল টেনে তুলে ফেলে। রেখাকে জিজ্ঞেস করলে সে সব স্বীকার করে। রেখাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।
গত ১৬ মার্চ রাত সোয়া ৯টার দিকে কুষ্টিয়া সদর থানায় শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন চিকিৎসক রকিউর রহমান। এ ঘটনায় পরে অভিযুক্ত গৃহপরিচারিকাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ২১ মার্চ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিশু নির্যাতনের ওই দৃশ্য ভাইরাল হয়।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, থানায় মামলা হবার পরপরই আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে মারধরের চিত্র পাওয়া গেছে।