সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ২২ অজ্ঞাত লাশের মধ্যে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিখোঁজ আটজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর ৫১ জনের লাশ উদ্ধার করা হলেও এতদিন ২২টি লাশের পরিচয় অজ্ঞাত ছিল।
স্বজনদের ডিএনএ টেস্টের মধ্য দিয়ে শনাক্ত হওয়া আটজন হলেন- আখতার হোসেন, আবুল হাশেম, মনির হোসেন, বাবুল মিয়া, সাকিব, মো. রাসেল, মো. শাহজাহান ও আব্দুস সোবহান প্রকাশ আব্দুর রহমান।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কর্মরত জেলা পুলিশের উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে আটজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের পরিবারের কাছে খবর দেয়া হয়েছে। তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নিহত ৫১ জনের মধ্যে আগে ২৯ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছিল, এই আটজনসহ ৩৭ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। আরও ১৪ জনের লাশ রয়েছে।
তিনি বলেন, আটজনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ার মধ্যে দুইজনের স্বজন হাসপাতালে এসেছেন। সিনিয়র স্যারদের উপস্থিতিতে নামগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের জন্য মালিকপক্ষ দায়ী
সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে একের পর এক উদ্ধার হওয়া লাশ এবং দেহের অংশ বিশেষের পরিচয় শনাক্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাব স্থাপিত করে। সে বুথে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবের টিম লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে গত ৯ জুন পর্যন্ত ১৯টি লাশ ও ২৩ জনের বিপরীতে ৪৩ জনের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছিল।
উল্লেখ্য গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ৯ জুন সকাল সোয়া ১১টার দিকে উদ্ধার কাজের সমাপ্ত ঘোষণা করে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় ৫১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের ৩২ দিন পর বিএম ডিপোতে মিলল পোড়া হাড়গোড়