এ ঘটনায় অসুস্থ অবস্থায় ওই মাদরাসার ৯ শিক্ষার্থীকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা হলেন- জামিআ আশরাফিয়া দারুল উলুম দুদু মিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সামিয়ুল হাসান, নূর হোসাইন, হামিদুল ইসলাম, ইয়াসিন আলী, ইয়াসিন খান, আতিকুর রহমান, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, আমির হামজা ও ইমরান হোসেন। এছাড়াও ওই মাদরাসার ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী বাসি খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানা গেছে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে চেয়ারম্যান শাহাবউদ্দিন মাতবর ১৫ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে নেতা-কর্মীদের জন্য খিচুড়ি রান্না করেন। ওই খিচুড়ি খাওয়ানোর পর ৪ পাতিল খিচুড়ি অবশিষ্ট থেকে যায়। পরে তিনি সেই খিচুড়ি বিজয় দিবসের দিন দুপুরে আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকায় ‘জামিআ আশরাফিয়া দারুল উলুম দুদু মিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা’র শিশুদের জন্য পাঠিয়ে দেন। পরে ওই খাবার মাদরাসা কর্তৃপক্ষ মহান বিজয় দিবসের দিন সোমবার দুপুরে এতিমখানার শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করেন। শিক্ষার্থীরা ওই খাবার খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারের মাদরাসার প্রধান বাহাউদ্দিন বলেন, বিজয় দিবসের দিন আশুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এতিম শিশুদের জন্য এক পাতিল খিচুড়ি পাঠিয়েছিলেন। আমরা সে খিচুড়িগুলো সোমবার দুপুরের এতিমখানার শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করি। কয়েকজন শিক্ষার্থী খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা তখন খাবার বিতরণ বন্ধ করে দিয়ে গুরুতর অসুস্থ শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে ভর্তি করি।’
আশুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাবউদ্দিন মাতবর বলেন, ‘এটা কোনো বিষয় নয়। যারা অসুস্থ হয়েছে তাদের সকল চিকিৎসার খরচ আমি বহন করেছি।’
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাইল্ড ওয়ার্ডের ডাক্তার আব্দুল আল নূর জানান, সোমবার বিকাল ৫টার দিকে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে মাদরাসার ৯ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত দাবি করে তিনি বলেন, ‘বাসি খাবারের কারণে তারা বেশি বেশি বমি করছিল। তাদের ডায়রিয়ার পরিমাণ বেশি হওয়ায় পানি শূন্যতা দেখা দিয়েছিল। পরে আমরা প্রাথমিকভাবে স্যালাইনসহ বিভিন্ন ট্রিটমেন্ট দিয়ে তাদের সুস্থ করে তুলছি। বর্তমানে তাদের অবস্থা ভালো।’