দাফনের দুদিন পর নিহতের ব্যবহৃত ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা ‘সুইসাইড নোট’ থেকে এ তথ্য পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তার মা জোসনা বেগম। পপি বেগম উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের লালটেক গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে নিজ বসতঘর থেকে পপি বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে এমন তথ্য পেয়ে রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে এই প্রতিবেদক নিহতের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করে বিষয়টি নিশ্চিত হন।
নিহতের মা জোসনা বেগম জানান, রবিবার মেয়ের রেখে যাওয়া স্মৃতি দেখতে গিয়ে ভ্যানেটি ব্যাগের মধ্যে পপির নিজ হাতে লেখা একটি কাগজ দেখতে পান। তার মেয়ের লেখা ওই কাগজ (সুইসাইড নোট) পড়ে তিনি জানতে পারেন গত ৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে বোনের বাড়িতে অবস্থানকালে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পপির মুখ, হাত ও পা বেঁধে মারধর করে রাতভর পাশবিক নির্যাতন করে তারা। এরপর ভোর রাতে তাকে বোনের বাড়িতে ফেলে রেখে যায় ওই দুই ব্যক্তি। পপি তাদের চিনতে পেরেছে এবং তাদের নামও সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছে বলে জোসনা বেগম জানান।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা বলেন, ‘নিহতের পরিবারের মৌখিক অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’