পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে দশম শ্রেণির এক কিশোরীকে বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী এলাকার বন্দর পাড়া গ্রামের একটি চা বাগানে এই ঘটনা ঘটে।
ওই কিশোরীর বাড়ি তেঁতুলিয়া উপজেলায়। বর্তমানে সে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এই ঘটনায় আটোয়ারী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ধর্ষকরা হলো- আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী মালগোবা গ্রামের হাসান (২৫), একই উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের মো. সবুজ (৩০), আমিনুল ইসলাম ওরফে ডিপজল (২৫), মো. নজরুল (৪০), কৈলাসের ছেলে অমর (৩০) ও রহমান (৫০)।
জানা গেছে, মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয় কিশোরীর। এরপর একবছর ধরে কিশোরী তার মামার বাড়িতে যাওয়া আসার সুবাদে প্রেমিক হাসানের সঙ্গে দেখা হয়। এক পর্যায়ে কিশোরী গভীর প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়ে। শনিবার সকাল দশটায় সে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে যায়। এরমধ্যে তাকে মোবাইল ফোনে কল করে বিয়ে করবে বলে পঞ্চগড়ে ডেকে নেয় প্রেমিক হাসান। বিকালে পঞ্চগড় পৌঁছালে কাজী অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাত ৮ টার দিকে আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী এলাকার বন্দরপাড়া গ্রামে সড়কের পাশে চা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে প্রেমিক হাসান ও তার বন্ধু আব্দুর রহমান তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ধামোর ইউনিয়নের আরও কয়েকজন সেখানে উপস্থিত হলে হাসান ও আব্দুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। কিশোরীকে একা পেয়ে তারাও ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে কিশোরীকে ফেলে তারা সবাই পালিয়ে যায়। ধর্ষক অমর সেখান থেকে বন্দরপাড়ার রাস্তার পাশে কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। গভীর রাতে মান্নান নামে এক পথচারী কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় দেখে উদ্ধার করে বন্দর পাড়া গ্রামের নায়েব আলীর বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে কিশোরী নায়েব আলীকে সব ঘটনা খুলে বললে কিশোরীর খালুকে সংবাদ দেয়। তার খালু ভোর রাতে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করেন।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মো. ইউসুফ আলী জানান, ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। দুই একজনকে ধরাও হয়েছে। অভিযান শেষে থানায় মামলা দায়ের করা হবে এবং বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৫ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
যৌন হয়রানির অভিযোগে নেত্রকোনায় সরকারি কর্মকর্তার স্ট্যান্ড রিলিজ