রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর খোলামুড়া এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে এক স্কুল শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১০ জুন) সকালে তার লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশের বসিলা ফাঁড়ির পুলিশ।
নিহত স্কুল শিক্ষার্থী ইয়াসমিন মাহমুদ মাহিম (১৫)। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মাহিম তার মায়ের একমাত্র সন্তান।
বাবা মাসুদুর রহমানের সঙ্গে ১০ বছর আগে মায়ের ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর থেকে মায়ের সঙ্গে কামরাঙ্গীরচর বাগানবাড়ি নয়াগাঁও এলাকায় থাকতেন।
আরও পড়ুন: গোসলে নেমে করতোয়া নদীতে ডুবে কৃষকের মৃত্যু
মা সাবিনা ইয়াসমিন স্থানীয় একটি স্কুলের সহকারী শিক্ষক।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (১০ জুন) সকালে স্বজনরা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে নৌপুলিশের বসিলা ফাঁড়ির পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের মামা রেজাউল করিম সোহাগ বলেন, শুক্রবার সকালে বাসা থেকে চুল কাটার কথা বলে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও না পেয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।
সোহাগ আরও জানান, চুল কাটা শেষে আজিমপুরে মাহিমের এক বন্ধুর দাদির মিলাদে যাওয়ার জন্য তার মাকে রাজি করায়। কিন্তু সেখানে যে যায়নি। পরে তার মোবাইল ফোন চেক করে আমার ভাগ্নের সহপাঠী সামিরের সঙ্গে দেখা করার তথ্য পাই। কিন্তু সে মাহিমের সঙ্গে দেখা করার কথা অস্বীকার করে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল থেকে সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে খোঁজ করেছি। আজ ভোরে খোলামুড়া ঘাট এলাকায় গেলে এক পথচারীর মাধ্যমে নদীতে লাশ ভেসে থাকার খবর পাই৷ পরে গিয়ে আমার ভাগ্নে মাহিমের লাশ ভাসতে দেখি। তার শরীর ও মুখে অনেক কাদা লাগানো।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নৌ পুলিশের বসিলা ফাঁড়ির পরিদর্শক অনিমেষ হালদার বলেন, শনিবার সকালে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তেরর জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে শরীর কাদা লাগানো ছিলো। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: রানীশংকৈলে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু