তবে শুক্রবার ভোর রাতে মারা যাওয়া ওই শিশুটি করোনা আক্রান্ত ছিল কি-না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলি জানান, শিশুটির নমুনা সংগ্রহ করে রবিবার পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
শিশুটির পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তিনদিন আগে ওই শিশু ও তার বোনের জ্বর, সর্দি-কাশি হলেও ভয়ে তাদের পরিবার বিষয়টি কাউকে জানাননি। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছ থেকে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। শুক্রবার রাতে বড় মেয়েটি বারবার বমি ও পাতলা পায়খানা করছিল। অবস্থার অবনতি হলে যশোরে সদর হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। পরে মনিরামপুর উপজেলায় তার গ্রামের বাড়িতে গোপনে দাফন করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল বলেন, বিষয়টি জেনে বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। সেই সাথে পরিবারের সদস্যদের বাড়িতেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ জনে। এছাড়া এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ১৪৪ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকার।