বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো পণ্যের চালান রপ্তানি করেনি ভারত।
এছাড়া ভারতের পেট্রাপোল থেকে পণ্যবোঝাই কোনো ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি, কোনো ট্রাক ভারতে যায়নি। বন্দরে পণ্য খালাসও বন্ধ রয়েছে।
বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর বন্দরেও অস্থিরতা শুরু হয়। পণ্য ওঠানো-নামানো ঠিকাদার ও শ্রমিক সরদারদের বেশিরভাগ আওয়ামী লীগের সমর্থক হওয়ায় তারা বন্দর থেকে সরে পড়েন। মূলত এ কারণে পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
বেনাপোল-পেট্রাপোলে প্রায় দুই হাজারের মতো পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকা রয়েছে। এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪০০-৪৫০ ট্রাক পণ্য আমদানি এবং ২০০-২৫০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে।
তারা আরও জানান, আটকে থাকা পণ্যের মধ্যে বেশিরভাগই শিল্পের কাঁচামাল, রাসায়নিক দ্রব্য ও মেশিনারিজ পণ্য। পাশাপাশি কিছু পচনশীল পণ্যও রয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ক্ষতি এড়াতে দ্রুত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু করার দাবি জানান তার।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘নিরাপত্তার কারণে বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বেনাপোল ও পেট্রাপোলে পণ্যবোঝাই দেড় হাজারের বেশি ট্রাক আটকে রয়েছে। আমরা বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তবে দ্রুত কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করছি।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘নিরাপত্তাহীনতার কারণে সোমবার সকাল থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পেট্রাপোল পোর্ট ম্যানেজারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।’